নিউজনাউ ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স তিন মাস পর খোলা হয়েছে। সেগুলোতে পাওয়া গেছে ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা।
এর আগে গত ১ অক্টোবর ১৫ বস্তায় পাওয়া গিয়েছিল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা। সেইসঙ্গে বিদেশি মুদ্রা এবং স্বর্ণ-রূপার গহনাও পাওয়া গিয়েছিল। এবারও বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণ-রূপার গহনা পাওয়া গেছে। প্রতি তিন মাস পর পর মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে দানবাক্স খোলা হয়।
এরপর মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, মসজিদ কমিটির কর্মকর্তা এবং রূপালী ব্যাংকের স্টাফসহ শতাধিক মানুষ টাকা গণনার কাজে সহায়তা করেন। মসজিদের ভেতর রূপালী ব্যাংকের দু’টি কাউন্টিং মেশিন স্থাপন করে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত টাকা গণনা করা হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। গণনাশেষে এসব টাকা রূপালী ব্যাংকে মসজিদের হিসাবে জমা করা হয়।
শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদে দেশের নানা প্রান্তের নানা ধর্মের মানুষ মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য দান করে থাকেন। অনেকে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি এবং শাকসবজিও দিয়ে থাকে। সেগুলো নিলামের পদ্ধতিতে বিক্রি করা হয়। এসব দানের টাকা মসজিদ কমপ্লেক্সের উন্নয়ন, মাদ্রাসা পরিচালনাসহ নানা জনহিতকর সামাজিক কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পদাধিকারবলে জেলা প্রশাসকরা থাকেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, মসজিদের তহবিল থেকে বর্তমান মসজিদের পশ্চিম পাশে একটি সুবিশাল ৬ তলা বিশিষ্ট নতুন মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এর জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। এই মসজিদ কমপ্লেক্সে একসঙ্গে ২০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। বর্তমান মসজিদ এলাকা এবং আশপাশের রাস্তায় এখনই জুমার দিন প্রায় ১০ হাজার মুসল্লি হয়ে থাকেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
নিউজনাউ/এমআরএইচ/২০২৩