নিউজনাউ ডেস্ক: ঢাকায় বসে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে নানা অনিয়ম দেখতে পান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। পরে এই উপনির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান তিনি।
ঢাকায় বসে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ করা কতটা যৌক্তিক হয়েছে, তা ভেবে দেখতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রিসাইডিং অফিসারদের ভাষ্যমতে, ঢাকা থেকে ৫১টি কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। তা ইসি করতে পারেন। কিন্তু সাংবাদিকদের নিয়ে ঢাকায় বসে গোপন বুথের যে ছবি ধরা পড়েছে, তার ভিত্তিতে বন্ধ করা কতটা যৌক্তিক? কতটা বাস্তবসম্মত? কতটা আইনসম্মত? ইসিকে তা ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ ‘রহস্যজনকভাবে’ স্থগিত করার ঘটনায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ। নির্বাচন বন্ধের ঘোষণা চাউর হওয়ার পর থেকেই ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে নানামুখী আলোচনা হয়েছে। নিজেদের মধ্যে আলোচনায় এ নিয়ে নানামুখী বিশ্লেষণও করছেন তারা। কেন হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশন এমন ‘নজিরবিহীন’ সিদ্ধান্ত নিল, আগামী দিনের রাজনীতি ও নির্বাচনে এটা কেমন প্রভাব ফেলতে পারে-এ নিয়েও কথা বলেছেন তারা। দলীয় ফোরামের পরবর্তী আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন দলটির নেতারা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসিলা তিন রাস্তার মোড়ে ঢাকা নগর পরিবহনের দুটি রুটে বাস সেবার উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
নজিরবিহীন এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাই না। তবে অতীতে কখনো এরকম নজিরবিহীন কিছু ঘটেছে বলে জানা নেই। কী কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হলো, তা স্পষ্ট নয়। প্রিসাইডিং অফিসাররা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে ১৪৫টি কেন্দ্রের ৫১টির ভোট বন্ধ করেছেন। বাকি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা সবাই একবাক্যে বলেছে ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, গাইবান্ধার উপনির্বাচন নিয়ে বেশি কথা বলতে চান না। জাতীয় নির্বাচনের আরও ১২/১৩ মাস বাকি। আওয়ামী লীগকে ঠাণ্ডা মাথায় দেশ চালাতে হবে। বিরোধীদল ক্ষুব্ধ হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ক্ষুব্ধ হলে চলবে না।
নিউজনাউ/এসএইচ/২০২২