চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম ৮ আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৪৭ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিউজনাউকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
জানা গেছে, করোনা মহামারি চলাকালে মোছলেম উদ্দিনের শরীরে ক্যানসার শনাক্ত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছিল। পরে তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মোছলেম উদ্দিন আহমেদের একান্ত সচিব আবদুল্লাহ্ মামুন নিউজনাউকে বলেন, ‘স্যার দীর্ঘদিন ধরে প্যাংক্রিয়াটিক ক্যানসারে ভুগছিলেন। আজ রাত ১২টা ৪৭ মিনিটে উনি আমাদের ছেড়ে চলে যান।’
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন নিউজনাউকে বলেন, ‘এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। আমি এখন নেতার লাশ গ্রহণ করার জন্য হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা করেছি।’
চট্টগ্রামের এই প্রবীণ নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান পৃথকভাবে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
মোছলেম উদ্দিন আহমদ ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম শাখার সহ সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে, তিনি চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর তিনি ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার বর্তমান সভাপতি। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।
প্রবীণ এ রাজনীতিক মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৪ কন্যা, একমাত্র ভাই, আত্মীয়স্বজন ও বহু রাজনৈতিক শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে চট্টগ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিউজনাউ/আরএইচআর/পিপিএন/২০২৩