নিউজনাউ ডেস্ক: ইতিহাসে ক্ষণজন্মা প্রতিভাশীল প্রচার বিমুখ রুপসী বাংলার অন্যতম প্রধান আধুনিক এক কবির নাম জীবনানন্দ দাশ। বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা এ কবির ১২৩তম জন্মদিন আজ।
১৮৯৯ সালের আজকের এই দিনে বরিশালের ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বামনকাঠি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জীবনানন্দ দাশ। বাবা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক। মা কুসুমকুমারী দাশ ও ছিলেন একজন কবি। সাংসারিক কাজের ফাঁকে তিনিও কবিতা রচনা করতেন। জীবনানন্দ মায়ের কাছ থেকেই সাহিত্যচর্চা ও কবিতা রচনার প্রেরণা লাভ করেন।
নিঃসন্দেহে সর্বকালের সর্বোৎকৃষ্ট নিঃসঙ্গতার কবি জীবনানন্দ দাশ। তাই সাড়ে আট শত কবিতার বেশী কবিতা লিখলেও তিনি জীবদ্দশায় মাত্র ২৬২টি কবিতা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও কাব্যসংকলনে প্রকাশ করতে দিয়েছিলেন। তবে তার জীবদ্দশায় তার নামের প্রতি কোন সুবিচার হয়নি বললেই চলে।
১৯৫২ সাল থেকে তার কবিতা প্রবাসী, বঙ্গবাসী, কল্লোল, কালি-কলম, বিজলী, ধূপছায়া, প্রগতি প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশ হতে থাকে। কবির উল্লেখযোগ্য রচনাবলি হলো : কাব্যগ্রন্থ বনলতা সেন, ঝরা পালক, ধূসর পাণ্ডুলিপি, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা কালবেলা। গদ্যগ্রন্থ কবিতার কথা। মৃত্যুর পর তার প্রকাশিত উপন্যাস মাল্যবান, সতীর্থ।
নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলন ১৯৫২ খিস্টাব্দে পরিবর্তিত সিগনেট সংস্করণ বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থটি বাংলা ১৩৫৯-এর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ বিবেচনায় পুরস্কৃত করা হয়। কবির মৃত্যুর পর ১৯৫৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৫৪) সাহিত্য একাডিমি পুরস্কার লাভ করে।
চলে যাবার পথটা ছিলো একটু ভিন্ন রকম। ১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতার বালিগঞ্জে এক ট্রাম দুর্ঘটনায় চরম পর্যায়ে আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ অক্টোবর রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নিউজনাউ/এবিএ/২০২১