নিউজনাউ ডেস্ক: আনারস নিয়ে একটা মিথ আছে।অনেকেই মনে করেন, আনারস এবং দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হয়। এটা কুসংস্কার ছাড়া কিছুই না। আনারস একটি অ্যাসিটিক এবং টকজাতীয় ফল। দুধের মধ্যে যেকোনো টকজাতীয় জিনিস দিলে দুধ ছানা হয়ে বা ফেটে যেতে পারে। ফলে হতে পারে বদহজম, পেট ফাঁপা বা পেট খারাপের মতো সমস্যা। তবে এতে বিষক্রিয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
কমবেশি আমরা সবাই ফল খাই। তবে কেউ কি আর হিসেব কষে খাই কোন ফলে কি উপাদান আছে? আর কোন উপাদান শরীরের কি উপকারে আসে? যদি জানি, তবে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় কোন না কোন ফল যোগ করবো আমরা।যেমন এর মধ্যে আনারস অন্যতম। শুধুই কি টক স্বাদের ফল এটি! এর যে কত উপকারীতা, তা জানি না আমরা অনেকেই।
চলুন জেনে নেওয়া যাক আনারসের গুণাগুণ সম্পর্কে।
আনারসের উপকারিতা
পুষ্টির অভাব পূরণে আনারসের জুড়ি নেই। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস।
এতে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম থাকে যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। তাই হজমজনিত যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আনারস খাওয়া যেতে পারে।
আনারসে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে। জ্বর ও জন্ডিস প্রতিরোধেও আনারস বেশ উপকারী।
নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসেবে আনারস কাজ করে। এই ফলে প্রচুর আঁশ থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ওদিকে এতে কোনো ফ্যাট না থাকায় পরিমিত পরিমাণে আনারসের জুস পান করলে ওজন কমে।
দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় আনারস। ফলে শিরা-ধমনির মধ্য দিয়ে সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হয়।
এতে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। এ ছাড়া মাড়ির যেকোনো সমস্যা সমাধানে আনারস কার্যকরী।
চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাওয়া রোগ ‘ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন’ থেকে রক্ষা পেতে আনারস সাহায্য করে। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
আনারসে থাকা ক্যালরি আমাদের শক্তির জোগান দেয়। প্রোটিন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ ত্বকের নানা সমস্যায় আনারস যথেষ্ট কাজ করে।
আনারসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামও থাকে। ক্যালসিয়াম হাড় ক্ষয়ে যাওয়া রোধে কাজ করে। এতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত।
কৃমিনাশক হিসেবেও আনারসের সুনাম আছে। প্রতিদিন সকালে আনারস খেলে কৃমির উৎপাত বন্ধ হয়।
ফ্রি-রেডিকেল মানবদেহের কোষের ওপর বিরূপ ক্রিয়ার সৃষ্টি করে। ফলে দেহে ক্যানসারসহ হার্টের নানা রোগ দেখা দেয়। আনারসে আছে উচ্চমাত্রায় পানিতে দ্রবণীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি। এগুলো ফ্রি-রেডিকেল থেকে দেহকে সুরক্ষা প্রদান করে।
নিউজনাউ/এসএইচ/২০২২