নিউজনাউ ডেস্ক: ধানমন্ডির শুক্রাবাদে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগকারী ‘সেই বিউটিশিয়ান’ অন্তঃসত্ত্বা নন। আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় তার পেটে সন্তানের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
তবে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পুলিশকে ওই নারী জানিয়েছিলেন তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়কারী ডা. বিলকিস বেগম ওই নারীর পেটে বাচ্চা না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে ওই নারী বিউটিশিয়ান অন্তঃসত্ত্বা নন। তিনি আরও জানান, এখানে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ম অনুযায়ী আমরা তার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করি। এর পাশাপাশি আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় দেখা যায় তার পেটে কোনো সন্তান নেই। ওই নারী এক মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলেও পরীক্ষার রিপোর্টে সেটা আসতো। কিন্তু পরীক্ষায় তিনি অন্তঃসত্ত্বা এমন কিছুই ধরা পড়েনি। আজকে (১৫ অক্টোবর) তাকে ওসিসি থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
গেল মঙ্গলবার রাতে এক নারীর অর্ডার পেয়ে সাভার থেকে ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডের বয়েজ স্কুলের কাছ যান তিনি। সেখানে ওই নারী একজন পুরুষকে দিয়ে তাকে রিসিভ করান। সেখান থেকে শুক্রাবাদের একটি বাড়ির দোতলার বাসায় নিয়ে যান। ওখানেই তিনজন পুরুষ তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। গর্ভাবস্থার কথা জানিয়ে অনুনয় করেও রক্ষা পাননি তিনি। পরে অস্ত্র ঠেকিয়ে এ ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। সেখান থেকে রিকশা নিয়ে গাবতলী পর্যন্ত আসে। সেখানে এক ব্যক্তির মোবাইলে সিম ঢুকিয়ে তার স্বামীকে ফোন দিলে তিনি গাবতলী থেকে তাকে সাভারে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিউজনাউ/এসএইচ/২০২২