চট্টগ্রাম ব্যুরো: কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবার বড় চালান নিয়ে চট্টগ্রাম আসার পথে এক রোহিঙ্গা নাগরিকসহ মোট ৫ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র্যাব-৭। এসময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ পিস ইয়াবা ও মাদক পরিবহনের বোটটি জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে চান্দগাঁও ক্যাম্পের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাব-৭ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান। এর আগে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জেলার পেকুয়া থানার মগনামা লঞ্চঘাট থেকে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার ৫ কুখ্যাত মাদক কারবারি হলেন— কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানার নুরুল আবছার (৩২), মো. মেহের আলী (৩৯), আব্দুল হামিদ (৩৭), মো. কালু (২৩) এবং উখিয়া থানার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নাগরিক নুরু হাসান (৩৩)।
র্যাব জানায়, তারা পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবত টেকনাফের সীমান্ত এলাকা হতে সাগর পথে মাদক জাতীয় দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছে।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তাররা এলাকায় বিভিন্ন কাজের আড়ালে দীর্ঘদিন যাবত মাদক পরিবহনের মত জঘন্য কাজ করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ছয় কোটি টাকা।
মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, মাদক ব্যবসায়ীরা টেকনাফের শাপলাপুর এলাকা থেকে একটি ফিশিং বোট যোগে ইয়াবার একটি বড় চালান নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির পর জানতে পারি, ফিশিং বোটটি কক্সবাজার জেলার বদরখালি হয়ে মগনামা দিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালি/আনোয়ারার দিকে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘এরপরই আমরা বিভিন্ন মাছের ঘাটে নজরদারি বাড়াই। একপর্যায়ে বোটটি সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমাদের একটি আভিযানিক দল স্থানীয় স্পীড বোটের সহায়তায় বোটটিকে ধরার চেষ্টাকালে ফিশিং বোটটি দ্রুত কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানার মগনামা লঞ্চঘাটে থামানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের আটক করা হয়।’
মেজর মেহেদী বলেন, ‘মূলত গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা নাগরিক নুরু হাসান এখানে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেন। তিনিই মিয়ানমার থেকে চালান বাংলাদেশে পৌঁছে দেন। এবারের চালানটি এনেছিল তার মামার বোটে করে। আর বাংলাদেশে তার মূল কাস্টমার ছিল নুরুল আবছার।’
‘বোটটি থেকে এসময় ৫ জনকে আটক করা হয়। উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনেই তারা ফিশিং বোটে থাকা মাছ রাখার ড্রাম থেকে নিজ হাতে বের করে সাদা পলিথিন দ্বারা মোড়ানো ইট সদৃশ ২০টি ইয়াবার কার্ড। সেখানে মোট দুই লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ছিল।’ যোগ করেন তিনি।
গ্রেপ্তার আসামিদের ও উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
নিউজনাউ/আরএইচআর/২০২৩