চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকায় ‘পুলিশের সোর্স’ হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ কায়েসকে (৩৩) হত্যা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছয় ‘সোর্স’। মাদক কারবারির তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তার সঙ্গে আরেক সোর্সের সাথে দ্বন্দ্বের জেরেই মূলত কায়েসকে হত্যা করে তারা। অভিযুক্ত ছয় ‘সোর্স’কে গ্রেপ্তারের পর জানা গেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত থেকে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তাররা হলেন—হুমায়ুন কবির মাসুদ, মো. খোকন, রফিকুজ্জামান সানি, নজরুল ইসলাম, মো. রায়হান ও আব্দুল কাদের জীবন।
খুনের শিকার কায়েসের গ্রামের বাড়ি পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকায় এলাকায়। তার বাবার নাম আবু তাহের।
বিষয়টি নিয়ে করে ডিবির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, ‘কায়েস হত্যায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে টানা ২২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েছে ডিবি। কায়েস নিজে একজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স ছিলেন। তাকে হত্যায় গ্রেপ্তার সবাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স।’
তিনি বলেন, ‘এক মাদক কারবারির তথ্য সংগ্রহ করতে চার মাসে একসঙ্গে রাঙামাটি যান কায়েস ও হুমায়ুন কবির। দ্বিতীয় দফায় হুমায়ুন কবির সেখানে একা যান। তখন কারবারিরা তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা করে। পাশাপাশি তাকে কারবারিরা জানায়, তাদের কায়েস জানিয়েছে হুমায়ুন পুলিশের সোর্স। সে ক্ষোভ থেকে কায়েসকে হত্যার পরিকল্পনা করেন হুমায়ুন।’
‘কায়েসকে হত্যা করতে গ্রেপ্তার বাকিদের সঙ্গে এক লাখ টাকার চুক্তি করেন হুমায়ুন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে চারটায় কায়েসকে মইজ্জারটেক এলাকায় ডেকে আনেন তারা। সেখানে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।’—যোগ করেন তিনি।
এর আগে, গত ২১ জানুয়ারি কর্ণফুলী উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে কায়েসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিউজনাউ/আরএইচআর/২০২৩