চট্টগ্রাম ব্যুরো: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় কারাবন্দি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। পাশাপাশি নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে এক ঘণ্টা কথা বলারও অনুমতি দেন আদালত।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আব্দুল হালিম এ আদেশ দিয়েছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। ওনার (বাবুল) আইনজীবীরা একান্তে কথা বলার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আদালত সহকারী পুলিশ কমিশনারের কক্ষে এক ঘণ্টা কথা বলার অনুমতি দিয়েছেন।’
‘দুপুর সোয়া ২টা থেকে তারা প্রায় এক ঘণ্টা বাবুল আক্তারের সঙ্গে মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেছেন’ বলে গণমাধ্যমকে জানান বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ।
মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে গেল বছরের ১৭ অক্টোবর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমা সুলতানা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তাতে আসামি করা হয় সাবেক এসপি বাবুল আক্তার, প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন, বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে।
মামলাটিতে ইতোমধ্যে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল থেকে জামিন নিয়েছিলেন বাবুল আক্তারের বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু। এছাড়া আসামি ইলিয়াস হোসাইন মামলাটিতে পলাতক রয়েছেন।
আলোচিত এ মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে ইউটিউবসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেন মার্কিন প্রবাসী ইউটিউবার ইলিয়াস হোসাইন। ওই ভিডিওতে বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন তিনি। ভিডিওতে নাইমা সুলতানার সম্পর্কেও বিভিন্ন বক্তব্য দেওয়া হয়। এ ঘটনার জেরে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
নিউজনাউ/জেআর/২০২৩