চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড এলাকা থেকে নিখোঁজ ৭ বছর বয়সী শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পিবিআই। পিবিআই জানিয়েছে, মূলত মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে শিশু আয়াতকে গুম চেষ্টা এবং তা ব্যর্থ হয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। আর লাশ গায়েব করার জন্য শিশু আয়াতকে ৬ টুকরো করে ভাসিয়ে দেওয়া হয় কর্ণফুলী নদীতে।
ভয়ংকর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল আয়াতদের বাসার সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী (১৯)। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ইপিজেড এলাকায় আকমল আলী সড়ক থেকে আবির আলীকে আটক করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে এসব তথ্য স্বীকার করে।
গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা। ইপিজিড থানার পাশাপাশি তদন্তে নামে পিবিআই।
পিবিআই পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, শিশু আয়াত নিখোঁজের পর থেকে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছিল। ফুটেজে আবির আলী নামের এক যুবকের গতিবিধি সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আবির শিশু আয়াতকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে বলে স্বীকার করে। তবে অপহরণের সময় শিশু আয়াত চিৎকার করতে থাকলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আবির। সুযোগ বুঝে আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে গিয়ে আয়াতের মরদেহ ছয় টুকরো করে সে। তারপর মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলো দুটি ব্যাগে ভর্তি করে বেড়িবাঁধ এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেয় ঘাতক আবির।
তিনি আরো জানান, শিশু আয়াতের পরিধেয় জামা-জুতো এবং তাকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত বটি ও অ্যান্টিকাটার উদ্ধার করা করা হয়েছে। অভিযুক্ত আবির পেশায় পোশাক কারাখানার শ্রমিক। সে এক সময় আয়াতদের বাড়িতে ভাড়া থাকতো । সে কিছুদিন যাবৎ একই এলাকার আকমল আলী সড়কে তার মায়ের সাথে ছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইপিজেড থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, শিশু আয়াত নিখোঁজের বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। কিন্তু আয়াতকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তাই এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিউজনাউ/এএইচআর/পিপিএন/২০২২