চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) চার ছাত্রকে হোস্টেলের কক্ষে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ৭ ছাত্রলীগ নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এই সাতজনের মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে আগেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে চমেক ৫৯ ব্যাচের অভিজিৎ দাশকে তিন বছরের জন্য কলেজের যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়। দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় ৫৯ ব্যাচের রিয়াজুল ইসলাম, ৬২ ব্যাচের সাজু দাশ ও একই ব্যাচের সৌরভ দেবনাথকে। দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় মাহিন আহমেদ, জাকির হোসেন ও ইব্রাহিম খলিলকে। তিনজনই ৬২ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ইব্রাহিম খলিল ছাড়া বাকিদের আগেও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিছুদিন পর তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি মওকুফ করা হয়েছিল।
বহিষ্কারাদেশ ছাড়াও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের প্রধান ফটকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও হোস্টেলগুলোতে একজন হোস্টেল সুপারের পরিবর্তে একাধিক হোস্টেল সুপার নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে একমত হন কমিটির সদস্যরা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে। তাই অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে নির্যাতিত চার ছাত্র এখনো ক্যাম্পাসে ফিরে আসেননি। তাঁরা নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ বর্ষের সাকিব হোসেন, জাহিদ হোসেন, আবু রাইয়াত ও মোবাশ্বির হোসেনকে প্রধান ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে নিয়ে পেটানো হয়। তাদের মধ্যে দুজনই চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিয়েছেন। মোবাশ্বির ও আবু রাইয়াত বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এই চারজন ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ এনে তাদের মারধর করা হয়েছিল। তবে শিক্ষার্থীদের পরিবার থেকে জানানো হয়, এ শিক্ষার্থীরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন।
নিউজনাউ/আরএইচআর/২০২৩