রংপুর ব্যুরো: রংপুরের গঙাচড়া উপজেলায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পরে হত্যা মামলায় আমৃত্যু দন্ড পাওয়া আলমগীরকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগাওে পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাতে তাকে রংপুরর নগরের সিও বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আলমগীর গংগাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া এলাকার হান্নান মিয়ার ছেলে। এই আসামিকে গ্রেপ্তারের নেতৃত্ব দেন এন্টি টেরোরিজম ইউনিট রংপুর বিভাগের পুলিশ সুপার শরিফুল আলম। এসময় সাথে ছিলেন গংগাচড়া থানার ওসি তদন্ত মমতাজ আলী, এসআই শাহরিয়ার ও রংপুর মহানগর কোতয়ালি থানার পুলিশ।
গংগাচড়া থানার ওসি দুলাল হোসেন জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ১৪ মে শাহিনা নামে এক শিশুকে বাড়িতে একা পেয়ে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় আবুজার নামে এক যুবক। এরপর আবুজার ও তার বন্ধুরা শাহীনকে গণধর্ষণসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশে ধইঞ্চা ক্ষেতে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন স্থানীয়রা শাহিনার লাশ ধইঞ্চা ক্ষেতে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শাহীনার বাবা আইয়ুব আলী ওইদিনগংগাচড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তৌহিদুল ইসলাম আবুজারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর ৫ আসামীকে আমৃত্যু কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক রোকনুজ্জামান। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত মর্ণেয়ার হাজীপাড়া তালপট্টির শামসুল আলমের ছেলে আবুজার (২১), আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল করিম (২২), মতিয়ার রহমানের ছেলে নাজির হোসেন (২৫), মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আমিনুর রহমান (২২) আদালতে উপস্থিত থাকলেও আসামি আলমগীর পলাতক ছিলেন।
নিউজনাউ/কেআই/২০২৩