চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পতেঙ্গা হালিশহরের সমুদ্র তীরবর্তী ভূমি উদ্ধার করে বে টার্মিনাল নির্মান বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই টার্মিনাল নির্মানের পর চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে কয়েকগুণ।
বুধবার (৭ এপ্রিল) বাস্তবায়নাধীন বে টার্মিনাল প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন কালে সিটি মেয়র এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ৯৫০ একর এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠতে যাওয়া এই বে টার্মিনাল নির্মাণের ফলে বেশি ড্রাফটের আরো বেশি জাহাজ এখানে ঘোরানো ও নোঙ্গর করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। জোয়ার ভাটার হিসাব না করেই জাহাজ ভিড়ানোর সুযোগ থাকায় পনণ্য ওঠা নামায় গতিশীলতা আসবে কয়েক গুণ,খরচ কমে আসবে অনেকটাই। স্বাভাবিকভাবেই রপ্তানি আয়ও বৃদ্ধি পাবে অনেক। তাই বে টার্মিনাল বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হবে। প্রয়োজনে আরো সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ থাকায় বে টার্মিনাল হবে বর্তমান ও আগামীর বন্দর। যত দ্রুত সম্ভব বে টার্মিনালের কাজ সম্পন্ন করতে পারলে দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গল বয়ে আসবে।
মেয়র রেজাউল করিমের সাথে তাঁর একান্ত সচিব আবুল হাশেম ও উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এরপর তাদের সাথে নিয়ে মেয়র পতেঙ্গা, হালিশহর ও কাট্টলিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত ঘটনাবলীর স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য স্মৃতি সৌধ নির্মানের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থানসমূহ পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা ও আত্মত্যাগ নিয়ে আমরা গর্ব করি। বীর চট্টলা শব্দটি উচ্চারণ করতে ও শুনতেই গর্বে আমাদের বুক ভরে যায়। কিন্তু যাদের আত্মাহুতি ও বীরত্বের কারণে দেশের একমাত্র জেলা হিসেবে আমাদের প্রিয় চট্টলার আগে বীর তকমা পেয়েছি, সেই আত্মবলিদান ও বীরত্বপূর্ণ ঘটনার স্থানসমূহ নানা প্রতিকূলতার কারণে যথাযথভা সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলো উদ্ধার ও সংরক্ষণ করে পুর্বপুরুষের মহান ত্যাগ ও বীরত্বগাথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে সিটি কর্পোরেশন থেকে উপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিলো। সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে পরামর্শক্রমে এখানে আমরা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করব।
নিউজনাউ/পিপিএন/২০২১