নিউজনাউ ডেস্ক: অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা নিশ্চিত করবে ‘হ্যাভ আই বিন পনড’ নামের একটি ওয়েবসাইট। মঙ্গলবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার (৩ এপ্রিল) আওয়ার মাইন টিম নামের একদল হ্যাকাররা অনলাইনে জাকারবার্গের ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করার দাবী করলে তার সত্যতা নেই বলে জানিয়েছে ফেসবুকের কর্তৃপক্ষ । আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুজবে কান না দেয়ার লক্ষে ‘হ্যাভ আই বিন পনড’ নামের ইনোভেটিভ ওয়েবসাইটটি তৈরি হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটে যে কোন ই-মেইল অ্যাড্রেস আর পাসওয়ার্ড দেওয়া হলে, তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলে দেয়, কোনো সময় কেউ সেই গোপন পাসওয়ার্ড জেনে ফেলে তা দিয়ে সেই ই-মেইল অ্যাড্রেস খুলেছিল কি না।, কত বার খুলেছিল।, হ্যাকার এর অবস্থান, স্প্যামাররা গোপন পাসওয়ার্ড দিয়ে সেই ই-মেইল অ্যাড্রেসে ঢুকেছিল কিনা, কত তথ্য তারা চুরি করেছিল ইত্যাদি।
এই বিশেষ ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ট্রয় হান্ট এক ব্লগ-পোস্টে বলেন, অনলাইনে সব ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়নি। তবে ৫ কোটি ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর ফাঁস হয়েছে এবং অল্পসংখ্যক ব্যবহারকারীর ‘ই-মেইলের তথ্যও ফাঁস হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাভ আই পনড ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই। তাদের কাছে স্বচ্ছতা রাখতে চাই।’
রবিবার (৪ এপ্রিল) টুইটারে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের চিফ টেকনোলজি অফিসার অ্যালোন গ্যাল জানান, ১০৬টি দেশের ৫৩ কোটি ৩০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তিন কোটি, যুক্তরাজ্যের ১ কোটি ১০ লাখ ও অস্ট্রেলিয়ার ৭০ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ৫৪ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়। তবে ফেসবুক বলছে, দেড় বছর আগেই তারা এ সমস্যার সমাধান করেছে।
নিউজনাউ/ এস এইচ/ ২০২১