চট্টগ্রাম ব্যুরো: সারা বাংলাদেশেই চলছে করোনা মহামারির তীব্র সংক্রমণ। স্বাস্থ্যবিধি মানতে নতুন করে আবারও কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার। গতকাল দেশে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ডের পাশাপাশি সর্বোচ্চ মৃত্যু হওয়ার পরদিন মহাসমারোহে শুক্রবার দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএসের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।
করোনার এমন ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কঠোরতার বিপরীত ডাক্তার হওয়ার এই পরীক্ষা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। নেট দুনিয়া সহ পরীক্ষা দিতে যাওয়া শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের কণ্ঠে ছিল তীব্র ক্ষোভ।
দেশব্যাপী সবাই যখন গণপরিবহণ সংকটে যখন নাকাল তখন এতো মানুষ রাস্তায় নেমে আসায় এই সংকট আরো তীব হয়েছে। শুক্রবার সরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও রাস্তা গাড়িও ছিল কম। তার উপর ডাবল সিটে এক যাত্রী হওয়ায় ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় দাড়িয়ে গাড়ি পাচ্ছেন না সাধারণ যাত্রীরা। এই সুযোগে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে আটোরিকশাগুলো।
সকাল ১০টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ পরীক্ষা শুরু হয়েছেন। সারাদেশের ১৯ কেন্দ্রের ৫৫ ভেন্যুতে এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
করোনা মহামারির উচ্চ সংক্রমণের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে আপত্তি তুলেছিলেন উপস্থিত অনেক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা দিচ্ছে সেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমন কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা। করোনার এমন তীব্র সংক্রমণের মধ্যে আমাদের সন্তানদের পরীক্ষায় দিতে বাধ্য করাটা ভালো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে ডাক্তারি পাশ করে তার কি মোরাল শিক্ষাটা পাচ্ছে সেই প্রশ্নও করেন অনেকে।
দেশের প্রায় সকল কেন্দ্রেই দেখা গেছে তীব্র ভীড়। সামাজিক দূরত্বের বিন্দু মাত্র নেই। অনেকের মুখে ছিল না মাস্কও।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্রের সামনের রাস্তায় ও আশপাশের জায়গায় অভিভাবকদের ছিল ভীড়। চট্টগ্রামের বাওয়া স্কুলের আশেপাশে অভিভাবকদের ভীড়ে রাস্তায় তৈরি হয়েছে যানজট।
পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরা বলছেন, আসার সময় পরীক্ষার অনেক আগে রওনা দিয়েও পরিবহণ সংকটে পড়েছি। ফেরার পথে বাসসহ আটোরিকাশার তীব্র সংকটে পড়তে হবে ভেবে সবাই শংকিত।