মোস্তফা সরয়ার ফারুকী: ‘‘আপনারা দেখছেন আমি কতটা নিয়ন্ত্রণ করছি আমার আবেগ। এমনকি অ্যাবসোলিউট বুলশিটের উত্তরও না দিয়া কনফ্লিক্ট এড়াইয়া গেছি।
কিন্তু আজ সকালে একটা খবর পড়ে, যদিও খবরটা আগে থেকেই জানতাম, আমার রাগ, ক্ষোভ, অভিমান আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম না!
হোলি আর্টিজানের ওপর নির্মিত ভারতীয় ছবি ‘ফারাজ’ দ্রুতই মুক্তি পাবে। আমার ভারতীয় ফেলো ফিল্মমেকার হানসাল মেহতার জন্য আমি আনন্দিত যে সে তার ছবিটা শেষ করে মুক্তি দিতে পারছে। হয়তো দ্রুতই আপনারাও সেটা দেখতে পারবেন।
একই সঙ্গে আমি একজন বাংলাদেশি ফিল্মমেকার হিসেবে অনুতপ্ত, ক্ষুব্ধ, বিরক্ত! আমার ছবিতে কোথাও হোলি আর্টিজান মেনশন করা নাই, আমার ছবিতে হোলি আর্টিজানের কোনো রিয়াল ক্যারেক্টার পোর্ট্রে করা হয় নাই, তারপরও স্রেফ এই দেশের হতভাগা ফিল্মমেকার হওয়ার অপরাধে আমার ছবিটাকে সাড়ে তিন বছর আটকে রাখা হইলো।
আমি কাকে অভিসম্পাত দিবো? কাকে? কাকে?’’
লেখক: বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং নাট্য নির্মাতা।