alo
ঢাকা, বুধবার, মার্চ ২২, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের লাবিবার অনন্য অর্জন, চাকরি করবেন আমাজনে

প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট, ২০২২, ০৪:১৫ পিএম

চট্টগ্রামের লাবিবার অনন্য অর্জন, চাকরি করবেন আমাজনে
alo

 

পার্থ প্রতীম নন্দী, চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ পৃথিবীর অন্যতম সেরা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম আমাজন। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময়ের পথচলায়। কর্মীরাও যুক্ত হয়েছেন পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে, যার ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশ থেকে আমাজনে যোগ দিচ্ছেন চট্টগ্রামের মেয়ে লাবিবা কানিজ রুপ্তি।

২৫ বছরের লাবিবার বাড়ি চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ঘাটফরহাদবেগের বলুয়ার দিঘির পাড়ে। আহসানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিএসসি করেছেন ২০১৯ সালে। দেড় মাসের মধ্যে প্রায় ৭ ধাপের ইন্টার্ভিউতে উত্তীর্ণ হওয়া লাবিবা আগস্টের ১৫ তারিখ শুরু করবেন আমাজনের প্রাইম টিমের সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এর দায়িত্ব। চাকরিতে যোগ দিতে লাবিবা বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখানেই আমাজনের সাথে কাজ করবেন এই মেধাবি তরুণী।

লাবিবা নিউজনাউকে বলেন, আমার অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল এমন বড় জায়গায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করব। প্রথমে ওদের ওয়েবসাইটের জব পোর্টাল থেকে অ্যাপ্লাই করেছিলাম। এরপর ৭ ধাপের ইন্টার্ভিউর জন্য আমাকে অনেক পড়াশোনা করতে হয়েছে। প্রতিদিন আগের অফিসের কাজ শেষ করে আমি আবার পড়তাম। আমার পরিবার, শিক্ষক সকলের অনুপ্রেরণায় আমি আজ এই জায়গায় আসতে পেরেছি।

এসএসসি, এএইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া লাবিবা স্কুল জীবন কেটেছে বলুয়ার দিঘী সিটি কর্পোরেশন প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। এরপর বলুয়ার দিঘী সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে কলেজ জীবন পার করেছেন চট্টগ্রামের ইস্পাহানী কলেজে। এরপরই ভর্তি হন আহসানুল্লাহ ইউনিভার্সিটিতে।

তার এমন অর্জনে গর্বিত বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ ইমরুল জোবায়ের। তিনি নিউজনাউকে বলেন, আমাদের অর্জনগুলো হয় সাধারনত আঞ্চলিক। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বিশ্বের অন্যতম টেক জায়ান্ট আমাজনে আমাদের বিভাগের পক্ষ থেকে পদচিহ্ন আঁকবেন, এইটা অন্যন অনুভূতি। লাবিবার এই অর্জন আমাদের বিভাগ তো বটেই পুরো বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের জন্যেও আনন্দের। এই অর্জনের মাধ্যমে শুধু লাবিবা নিজেই বড় হয়নি, আমাদের নামও বিশ্বের দরবারে চলে গেল। 

লাবিবার রিসার্চ সুপার ভাইজার এই শিক্ষক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীরাও আশাকরি লাবিবার এই অর্জনে অনুপ্রাণিত হবেন। নিশ্চয় তারাও পারবে।  আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি ফেসবুকেও একজন চাকরি পেয়েছেন, সেটাও আমাদের জন্য বেস আনন্দের। 

লাবিবার এই অর্জনে ভীষণ খুশি তার বাবা মাহাবুবুল হাকিম ও মা কামরুন্নেসা বেগম। তারা বলেন, আমাদের মেয়ে এই অর্জনের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে। ভবিষ্যতেও লাবিবা সারা চট্টগ্রাম, দেশবাসীর নাম উজ্জ্বল করবে বলে তারা বলেন। 

ব্যক্তিজীবনে বিবাহিত লাবিবা জানান তার এই সাফল্যের পিছনের কারিগর তার স্বামী সৌরভ হোসেন। তিনি নিজে যখনই মনে করেছেন পারবেন না, তখনই সৌরভ শক্তি হয়ে তার পাশে দাঁড়িয়ে দিয়েছেন এগিয়ে যাওয়ার অভয়। দেশবাসীর দোয়া চেয়ে লাবিবা বলেন, আমি আরও বড় হতে চাই। দেশের জন্য কিছু করতে চাই।

নিউজনাউ/একে/২০২২

X