চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ওই কোম্পানির পরিচালক পারভেজ উদ্দিন শান্টুকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতকড়াসহ কোমরে দড়ি বাঁধার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ ঘটনায় শিল্প পুলিশের এক সদস্যকে কারণ দর্শাতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নাজমুন নাহারের আদালতে হাজির করার সময় তার কোমড়ে রশি বেধে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া ওই পুলিশ সদস্যের নাম অরুণ কান্তি বিশ্বাস। তিনি চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশে কর্মরত এবং উপপরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিল্প পুলিশ সুপার মো. সোলায়মান বলেন, কোমরে রশি লাগানোর ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাকে (অরুণ) ক্লোজ করে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট এএম জিয়া হাবীব আহসান বলেন, অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া, দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত অপরাধী হিসেবে আচরণ না করা, অ্যাডভোকেট নিয়োগের সুযোগ দেওয়া প্রভৃতি আটক বন্দীদের মানবাধিকার। যেকোনো বন্দীর প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন, অপমানজনক আচরণ মানবাধিকার এর চরম লংঘন। বন্দী নাগরিকদের প্রতি সদাচরণ প্রদর্শন করতে মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনাও রয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরের জিইসি মোড় থেকে পারভেজ উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে শিল্প পুলিশ। বুধবার (১৫ মার্চ) তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নাজমুন নাহারের আদালত পারভেজ উদ্দীনকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৩০ জন। ঘটনার দিন রাতেই আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ওই কমিটিকে ৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। পরবর্তীতে তদন্তে দুইদিন সময় বাড়ায় কমিটি। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন যান জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা। মঙ্গলবার প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কমিটি। ওইদিন বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক জানিয়েছেন, তদন্তে কারখানা পরিচালনায় মালিকপক্ষে অবহেলার প্রমাণ তারা পেয়েছেন।
নিউজনাউ/আরএইচআর/২০২৩