চট্টগ্রাম ব্যুরো: পরিচয় মিলেছে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজের খালি কনটেইনারে লুকিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়া সেই ছেলের। ১৫ বছর বয়সী ওই ছেলের নাম রাতুল ইসলাম ফাহিম।
ফাহিমের ছবি দেখিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কুমিল্লার এসপি আবদুল মান্নান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ফাহিম শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া গ্রামে। সে কৃষক ওমর ফারুক ও নিপু বেগমের সন্তান।
কুমিল্লার এসপি আবদুল মান্নান বলেন, স্থানীয় থানার ওসি শফিউল আলমকে ফাহিমের বাড়িতে পাঠানো হয়। ছবি দেখার পর তার মা-বাবা নিশ্চিত করেছেন ছেলেটি তাদের। ফাহিম দুই মাস আটদিন আগে ঘর থেকে নিরুদ্দেশ হয়েছিল বলে জানায় তার পরিবার।
পুলিশকে ফাহিমের বাবা-মা জানায়, মাঝে মাঝেই ফাহিম এভাবে বেরিয়ে যেত, আবার কয়েকদিন পর ফিরে আসত। এবারও তারা ভেবেছিল ফিরে আসবে। এজন্য নিখোঁজের ঘটনায় তারা কোনো জিডিও থানায় করেনি। ফাহিমের বাবা ওমর ফারুক গ্রামে কৃষি কাজ করেন। তার তিন ছেলের মধ্যে ফাহিম সবার বড়।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি রাতে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ‘এমভি ইন্টিগ্রা’ নামে জাহাজ থেকে রাতুলকে উদ্ধার করে মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জাহাজটির বাংলাদেশের প্রতিনিধি কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্স (বিডি) লিমিটেড। জাহাজটি ১২ জানুয়ারি ১৩৩৭ টিইইউএস কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা দেয়। ১৬ জানুয়ারি জাহাজটি কেলাং বন্দরে পৌঁছায়। খালি কনটেইনারের ভেতর থেকে গোঙানির শব্দ শুনে মালয়েশিয়ান পুলিশ কিশোরকে উদ্ধার করে কেলাংয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে।
নিউজনাউ/আরএইচআর/২০২৩