পটিয়া প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আগামীকাল (রবিবার) আমিরুল আউলিয়া হযরত মাওলানা সৈয়দ আমিরুজ্জামান শাহ (ক.) এর ১৩৭তম ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হবে৷ এ উপলক্ষ্যে আমির ভান্ডার দরবারে বসছে লাখো ভক্তের মিলনমেলা।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) আমির ভান্ডার সংসদের সাধারণ সম্পাদক শাহ্জাদা ছৈয়দ আরিফুজ্জামান আমিরী নিউজনাউকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে ভক্ত অনুরক্ত ও মুরিদরা আজ আমির ভান্ডার দরবারে জড়ো হবে। ভক্তদের আনাগোনায় মুখরিত হবে আমির ভান্ডার দরবার প্রাঙ্গন। এদিন আমিরুল আউলিয়া দরবারের সব শাহজাদার দরবারেও একাধারে ওরশ অনুষ্ঠিত হবে। ওরশ শরীফ সফলভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজকরা।
আমির ভান্ডার দরবার শরীফ সূত্রে জানা গেছে, ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে দিনের শুরুতে খতমে কোরআন, মিলাদ, বিকেলে কাওয়ালী, জিয়ারত, তবরুক বিতরণ ও সর্বশেষ আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ওরশ শরীফের কর্মসূচি শেষ হবে।
জানা যায়, আমিরুল আউলিয়া হযরত মাওলানা সৈয়দ আমিরুজ্জামান শাহ (ক:) পটিয়া পৌরসদরে ৯নং ওয়ার্ড গোবিন্দারখীল গ্রামের ধর্মপ্রাণ মহাপুরুষ হযরত মাওলানা চাঁদ (র.) এর ঔরসজাত সন্তান। তিনি ১লা চৈত্র ১২৫২ বঙ্গাব্দ, ১২ই জিলকদ ১২৬৫ হিজরী, ১৮৪৫ সালে একই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কঠোর ত্যাগ-তিতিক্ষা, রেয়াজত ও সাধনার মাধ্যমে স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ এবং তরিকায়ে মাইজ ভান্ডারীর প্রতিষ্ঠাতা হযরত গাউছুল আজম শাহ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর (ক:) এর অন্যতম প্রধান খলিফা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।
কথিত আছে, তিনি কোন দিন মাইজভান্ডার শরীফ থেকে তাঁর মুর্শেদকে পেছনে রেখে বাড়ি ফিরতেন না, ফিরতেন তাঁকে সামনে রেখে পিছু হেঁটে। তাছাড়া তিনিই সর্বপ্রথম মাইজভান্ডার শরীফে দপ বাজিয়ে জিকির মাহফিলের সূত্রপাত করেন।
আমির ভান্ডার সংসদের সাধারণ সম্পাদক শাহ্জাদা ছৈয়দ আরিফুজ্জামান আমিরী জানান, পটিয়া আমির ভান্ডার দরবার শরীফের বার্ষিক ওরশ শরীফ প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আগামীকাল মহা সমারোহ ঘটবে। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে কয়েক লক্ষ ভক্ত অনুরক্তের সমাগম হয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পবিত্র ওরশ শরীফ উদযাপনে কমিটি গঠনের পাশাপাশি প্রশাসনের কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
ওরশ শরীফের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দেশাবলী পালনসহ ওরশে মানত হাদিয়া স্বরূপ গরু, মহিষ ওরশের দিন রাত ১২ টার মধ্যে দরবারে আদবের সহিত প্রেরণ ও গরু মহিষকে উত্যক্ত না করার জন্য ভক্তবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। মহাসমারোহে অনুষ্ঠিতব্য ওরশে সকল ভক্তবৃন্দকে শরীক হওয়ার জন্য সকলকে বিশেষভাবে দাওয়াত দিয়েছেন।