নিউজনাউ ডেস্ক: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলাটি তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে বাদী শিব্বির আহমেদ ওসমানী ডিবির দেওয়া চুড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন। আদালত এ নারাজি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করতে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
গত ১৫ জানুয়ারি একই আদালতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলায় কোনো সত্যতা না পাওয়ায় ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে ওই দিন মামলার বাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী নারাজি দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করলে বিচারক তা গ্রহণ করেন। নারাজি আবেদন দাখিলের জন্য আজ দিন ধার্য করেন।
এর আগে, গত বছরের ৪ জুলাই রোজিনা ইসলামকে মামলার দায় হতে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোর্শেদ আলম খান।
২০২১ সালের ১৭ মে দুপুরের পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনাকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন উপ-সচিব তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের’ ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়।
এজাহারে বলা হয়, রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছেন’, তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’ সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল। এরপর রোজিনা ইসলামকে আদালতে হাজির করে তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এরপর তাকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়।
একই বছরের ২৩ মে সকালে রোজিনাকে আদালতের পক্ষ থেকে জামিন দেওয়ার পর বিকেলে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন।
নিউজনাউ/কেআই/২০২৩